হেফাজতে ইসলামের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা ও কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রেক্ষাপটে রাজধানীর ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যদের সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
Published : 19 Dec 2020, 08:33 PM
শনিবার রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা মহানগরীতে যতগুলো ভাস্কর্য আছে সেগুলো যাতে বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।”
হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ভাস্কর্য তৈরি করা হলে তা ‘বুড়িগঙ্গায় ফেলার’ হুমকি দেন। এরপর চট্টগ্রামে এক ধর্মীয় সভায় হেফাজত আমির জুনাইদ বাবুনগরী যে কারও ভাস্কর্য তৈরি করা হলে ‘টেনে হিঁচড়ে’ ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।
এ নিয়ে প্রতিবাদের মধ্যেই গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাংচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদের কয়া গ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘা যতীন) ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকার ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিতে বললেন পুলিশ কমিশনার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে গুলশান ও মিরপুর বিভাগ যৌথভাবে প্রথম হয়েছে। নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। আর আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ।
এছাড়া ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন কমিশনার।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও উপকমিশনাররাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।