বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জি কে শামীম) বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
Published : 19 Nov 2020, 06:24 PM
প্রথম সাক্ষী হিসেবে বৃহস্পতিবার ঢাকার দশম বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করতে সময় চান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ ডিসেম্বর বাদীর জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
গুলশান থানায় করা এই মামলায় শামীমের সাত দেহরক্ষীও আসামি।
গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।
ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।
ওই অভিযানের পরদিন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
আসামি অন্যরা হলেন- দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেন তিনি।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ গত ৪ আগস্ট আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমের বিচারও শুরু হয়েছে।