বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার মামা অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালামসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 18 Nov 2020, 04:38 PM
অপরজন হলেন অভিজিতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী নূর মোহাম্মদ তালুকদার।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের কাছে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন।
বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ তালুকদার সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী জোটের সদস্য সচিব পদে আছেন।
তিনি বলেন, “আমি ঘটনার পরের দিন হাসপাতালে যাই। সেখানে অভিজিতের লাশ দেখতে পাই। শাহবাগ থানার উপ-পরিদশর্ক সুব্রত গোলদার আমার সামনে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। আমি তাতে সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করি।”
সৈয়দ আবুল কালাম বলেন, “রাফিদা আহমেদ বন্যা আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসলে আমার বাসায় উঠত। কয়েক দিন করে থাকত। সেদিন অভিজিতের সঙ্গে সে বেরিয়ে গিয়েছিল বইমেলায়। আমি তাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরে প্রথমে অভিজিতের বাসায় যাই। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অভিজিতের লাশ এবং আহত বন্যাকে দেখতে পাই।”
জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটনসহ অন্যরা।
আলোচিত এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে আসার পর অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত হন বন্যা। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত বছর ১ অগাস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস) ও শাফিউর রহমান ফারাবী।
আসামিদের মধ্যে প্রথম দুজন পলাতক আছেন।