সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা তরুণদের অনুপ্রেরণার পুরস্কার ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হচ্ছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
Published : 17 Nov 2020, 06:07 PM
সন্ধ্যা ৭টায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এবারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।
‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ আয়োজক ইয়াং বাংলা জানিয়েছে, এবারের আসরে অংশ নেওয়া ছয়শর বেশি উদ্যোক্তা ও সংগঠনের মধ্যে এখন পর্যন্ত দৌড়ে টিকে আছে ৪৭টি।
তাদের মধ্যে থেকে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শীর্ষ ৩০ সংগঠনের নাম ঘোষণা করে তাদের ভার্চুয়ালি অভিন্দন জানাবেন সজীব ওয়াজেদ।
মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এই ৩০টি যুব সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হবে। তাদের দেওয়া হবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও একটি করে ল্যাপটপ। বাকি ১৭টি সংগঠনও একটি করে ক্রেস্ট পাবে।
ইয়াং বাংলা জানিয়েছে, বিজয়ী ৩০টি যুব সংগঠন যেন ভবিষ্যতে তাদের কর্মপরিধি আরও বিস্তৃত করতে পারে, সেজন্য তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ের পর যে ৪৭টি উদ্যোক্তা ও সংগঠন সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে-
ব্লাডমেন হেলথ কেয়ার
ঢাকাভিত্তিক এ সংগঠন মহামারীকালে মানুষের প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সেবা ও রক্ত সরবরাহে কাজ করে গেছে। সংগঠনটির পরিচালনায় রয়েছেন ডা. মনজুর হোসেন চৌধুরী।
মাস্তুল ফাউন্ডেশন, ঢাকা
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনে বর্তমানে ৬০০০ সদস্য কাজ করছেন।
ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি, নোয়াখালী
চলতি বছরের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি মহামারীকালে দুস্থদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান, চট্টগ্রাম
২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসা সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান দুর্যোগকালীন সময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে তারা। বর্তমানে ৭ জন সদস্য রয়েছেন এ সংগঠনে।
মিশন সেইভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ঢাকা
মহামারীর সময়ে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে মিশন সেইভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। চলতি বছরের মার্চে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫০০ জন।
ফুটস্টেপ বাংলাদেশ, নোয়াখালী
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানুষকে সহযোগিতায় নিয়োজিত ফুটস্টেপ বাংলাদেশ। সংগঠনটি ২০১৩ সাল থেকে কাজ করছে। বর্তমানে ১ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে তাদের।
সেইফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন, কুড়িগ্রাম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশন। তাদের যাত্রা শুরু ২০১৫ সালে। বর্তমানে ৭ হাজার ৫০০ জন সদস্য নিয়ে কাজ করছে।
প্লাস্টিক ইনিশিয়েটিভ নেটওয়ার্ক (পিআইএন)
ঢাকা ভিত্তিক এ সংগঠনের পরিচালনায় রয়েছেন নাজনীন সুরাইয়া। পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাস করতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
ইউথ এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সমস্যা এবং পরিবেশ বিষয়ে সচেতনা বাড়াতে কাজ করছে এ সংগঠন। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ সোসাইটিতে বর্তমানে ১ হাজার ৩৭ জন সদস্য রয়েছে।
সাইকিওর অর্গানাইজেশন, জামালপুর
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সাইকিওর অর্গানাইজেশন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশের ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা কাজ করছে, ভলান্টিয়ার সংখ্যা ১৪০ জন।
দীপ মেডিকেল সার্ভিসেস ও দীপাশা ফাউন্ডেশন, নাটোর
গর্ভবতী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে দিপ মেডিকেল সার্ভিসেস ও দীপশা ফাউন্ডেশন। তাদের সদস্য সংখ্যা ২০ জন, যারা গর্ভকালীন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাদের স্বাস্থ্য ও যাতে সঠিকভাবে বেড়ে উঠে সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করেন। ২০১৮ সাল থেকে তারা এই সেবা দিচ্ছেন।
পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার, কক্সবাজার
মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে ও যুবকদেরকে বই পড়তে উৎসাহী করতে পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। সেইসঙ্গে যুবকদের খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠন।
উত্তরণ যুব সংঘ, মৌলভীবাজার
চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে ২০১৯ সাল থেকে কাজ করছে উত্তরণ যুব সংঘ। এছাড়া চা শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য গঠন করেছে তহবিল।
সিনেমা বাংলাদেশ, লক্ষ্মীপুর
সমাজে অপরাধ কমাতে ও জনসাধারণকে শিক্ষামূলক সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী কাজ করছে সিনেমা বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এ সংগঠনে কর্মী রয়েছেন ১২০ জন।
হ্যাপি নাটোর, নাটোর
বস্তির শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ‘স্বপ্ন কলি’ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে এ সংগঠন। ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা স্কুলে সুবিধাবঞ্চিত ১২০ জন শিশু পড়ালেখা করছে।
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, রাজশাহী
যৌন শিক্ষা ও যৌন হয়রানির বিষয়ে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চারজন যুবক মিলে এ সংগঠন গড়ে তোলেন। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে আছেন মো. রায়হানুল হক।
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, পটুয়াখালী
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তিনটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। স্কুল তিনটিতে ৪৫০ জন শিশু লেখাপড়া করছে। সারা দেশের ৩২ জেলায় স্কুলটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সাড়ে তিন হাজর স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত আছেন এ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।
মিজারেবল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশান, সিলেট
সিলেটের এ সংগঠনটির পরিচালনায় রয়েছেন তাসমিনা বেগম। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন, পিরোজপুর
দক্ষিণ উপকূলের জেলেদের সন্তানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন। নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তাদের গড়ে তুলতে এ ফাউন্ডেশন কাজ করছে।
এক টাকায় শিক্ষা, চট্টগ্রাম
উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শিশুদের মধ্যে শিক্ষাগ্রহণে বৈষম্য দূর করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় গড়ে উঠেছে এক টাকায় শিক্ষা। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এ সংগঠন আড়াই হাজার সদস্যের মাসিক এক টাকা অনুদানের মাধ্যমে চলে।
গুড ফিল্ম, বরিশাল
ফিল্মের সঙ্গে এডুকেশন রেসপন্স ও ইনফরমেশন- এমন স্লোগান নিয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে গুড ফিল্ম কাজ শুরু করে। সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ফিল্মের মাধ্যমে উপস্থাপন করা এবং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করা তাদের উদ্দেশ্য।
উন্মেষ, রাঙামাটি
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে উন্মেষ। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠন সুবিধা বঞ্চিত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর উদ্যোক্ত বিটন চাকমা।
ইগনাইট ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, চাঁদপুর
বস্তির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে ইগনাইট ইয়ুথ ফাউন্ডেশন। তাদের একটি স্কুলে ৬৭ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু পড়াশোনা করছে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ সংগঠনে ২ হাজার ৫০০ ভলান্টিয়ার রয়েছেন।
আইটেক স্কুল, চাঁদপুর
মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা ও অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে কাজ করছে আইটেক স্কুল। ২০১৭ সালে গড়ে ওঠা এ স্কুল পরিচালনা করছে ১২ সদস্যের একটি দল ।
পজিটিভ বাংলাদেশ, ঢাকা
উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির কাজ করে পজিটিভ বাংলাদেশ। তরুণরা যাতে কোনভাবে উগ্রবাদে জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য শিক্ষা বিস্তার ও সামাজিক কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠন।
দেশি বোলারস, ঢাকা
ক্রীড়া শিক্ষার বিস্তারে কাজ করছে এ সংগঠন। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠন ক্রীড়া শিক্ষার মাধ্যমে জনগণকে সামাজিক বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করে।
ইয়ুথ ফর চেইঞ্জ বাংলাদেশ, বরিশাল
শিক্ষা নিশ্চিত করে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়নের চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠন। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠনের কো-ফাউন্ডার কামরুল হাসান শাওন। দেশের ২৪ জেলায় চার শতাধিক ভলান্টিয়ার রয়েছে এ সংগঠনের।
সেন্টার ফর রাইটস অ্যান্ড অ্যাম্প: ডেভেলপমেন্ট অব পার্সন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস, বরিশাল
প্রতিবন্ধীদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠন। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠন প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে যাতে তারা দক্ষতা অর্জন করে বিভিন্ন কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেন।
বাংলাদেশ হুইল চেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন, ময়মনসিংহ
শারীরিক প্রতিবন্ধীরা যাতে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করা এ সংগঠন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পও নিয়ে থাকে প্রতিবন্ধীদের জন্য।
হবিগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশান ফর অটিজম অ্যান্ড সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট, হবিগঞ্জ
অটিস্টিক শিশুদের জন্য স্কুল ও স্পেশাল এডুকেশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনে সদস্য সংখ্যা ২১ জন।
পেন ফাউন্ডেশন, খুলনা
পেন ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে স্কুল তৈরির মাধ্যমে কাজ শুরু করে। ফাউন্ডেশনের কমিটিতে বর্তমানে ২১ জন কাজ করছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টি নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
মেঘ ফাউন্ডেশন
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মেঘ ফাউন্ডেশনে দেড়শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ১১ জনের একটি কমিটি এ ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছে। নারী নির্যাতন ও শিশু নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা।
ইন্সপিরেশন ফর হিউম্যান ওয়েলফেয়ার
বরিশালে পরিবেশের সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে মো. নজরুল ইসলামের এই সংগঠন।
খুলনা ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড খুলনা ফুড ব্যাংক
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে খুলনায় কাজ করে যাচ্ছেন সৌরভ গাইন। মহামারী পরিস্থিতিতে অসুস্থ মানুষের জন্য জরুরি রক্ত সরবারাহ, চিকিৎসা সামগ্রী ও সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
স্টার্টআপ চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম
মহামারীর মধ্যে কর্মহীন বসে থাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ চট্টগ্রাম। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২০০ জন।
জিইউজেডওওবি
তরুণদের সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চায় এ সংগঠন।
আশ্রয় (একটি সমাজকল্যাণ সংগঠন)
দেশের দক্ষিণবঙ্গের ঝিনাইদহ জেলার এ সংগঠনি অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির পরিচালনায় রয়েছেন শুভ কুমার বিশ্বাস।
সেলফ প্রটেক্ট
নারীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সামাজিক সংগঠন। এর পরিচালনায় আছেন ৩০ জন; আর স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ২৫৫ জন।
নিঃসংকোচ ফাউন্ডেশন, ঢাকা
সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করছে নিঃসংকোচ ফাউন্ডেশন । ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ ফাউন্ডেশনের সদস্য সংখ্যা দেড়শ।
ইয়ুথ স্কুল ফর সোশ্যাল অন্টারপ্রেনারস (ওয়াইএসএসই)
তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পরামর্শ ও সহায়ক শিক্ষা দিচ্ছে এ সংগঠন। শেরপুর থেকে শেখ মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন এ সংগঠন পরিচালনা করছেন।
টিম ব্যর্থ
তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার পথে সফলতার থেকে প্রাথমিকভাবে সকলের চোখে ব্যর্থতাই বেশি ফুটে ওঠে। কিন্তু যে কোনো সফল ব্যক্তির পেছনে থাকে অনেক ব্যর্থতার গল্প। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার ব্রত নিয়ে ‘টিম ব্যর্থ’ নামের এ সংগঠনের পথচলা। এর উদ্যোক্তা মুর্শেদুল আলম ভূঁইয়া।
জাগ্রত তারুণ্য
বরিশালের তরুণদের উন্নয়ন ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে এ সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ সংগঠক মো. শাহরিয়ার মিয়া।
উই আর ফর দেম
‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’- এই বাণীকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন রংপুরের জীবন ঘোষ।
সোশ্যাল ক্যানভাসারস
সমাজের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এর পরিচালনায় থাকা মো. আমিরুল করিম মুসা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ঢাকা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটি
ঢাকা থেকে নারী ক্ষমতায়নের জন্য এই সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মাইশা মালিহা বিনতে মামুন।
ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ইউনিভার্সিটি (পিডিএফ-জেইউ)
কুষ্টিয়া থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মো. রোকনুজ্জামান। তার লক্ষ্য সমাজের মূল ধারার উপযোগী করে এই মানুষগুলোকে তৈরি করা এবং সেই সঙ্গে সমাজেও এই মানুষগুলোর জন্য বিশেষ অবস্থান তৈরি করা।