ঢাকা-১৮ আসনে উপ নির্বাচনের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানো এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে নয়টি মামলা হয়েছে।
Published : 13 Nov 2020, 11:27 AM
এর মধ্যে মতিঝিল থানায় দুই, শাহবাগ থানায় দুটি, পল্টন থানায় দুটি এবং কলাবাগান, ভাটারা ও বংশাল থানায় একটি করে মামলা করার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্য যেসব এলাকায় বাস পোড়ানো হয়েছে, সেসব থানাতেও মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন।
মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামির তালিকায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের নাম রয়েছে।
এছাড়া মতিঝিল থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক ফজলু, থানা যুবদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন বাবু এবং যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের শ খানেক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে মতিঝিলের দুই মামলায়।
শাহবাগ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলোতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এসএম জিলানীসহ প্রায় ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভাটারা থানার মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি শাহনুর আলম ও নজরুল ইসলাম, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ, সাংগঠনিক সম্পাক রাসেল বাবু, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর ইসলাম মিল্টন, রপনগর থানা যুবদলের সভাপতি জনসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ৯৫ জনের নাম রয়েছে।
অন্য থানায় দায়ের করা মামলাগুলোতেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাহবাগ থানার মামলা দুটি হয়েছে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায়।
কলাবাগান এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই মিছিল বের করে ‘পুলিশের কাজে বাধা’ দেওয়ার কারণে মামলা হয়েছে।
মতিঝিল ও পল্টন থানার চার মামলায় গাড়ি পোড়ানো ও সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্র্যন্ত উত্তরায় ঢাকা-১৮ আসনে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা সকালে নয়া পল্টনে মিছিল বের করার কিছু সময় পর বেলা ১২টার দিকে বাস পোড়ানোর প্রথম ঘটনাটি ঘটে। বিএনপি অফিসের বিপরিতে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা আয়কর বিভাগের একটি স্টাফ বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর রাত ৮টা পর্যন্ত মতিঝিল, গুলিস্থান, শাহবাগ, সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেইট, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, পল্টন, ভাটারা এবং উত্তরার আজমপুরে মোট দশটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন, কেউ হতাহত হননি।
উপ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ‘একটি গোষ্ঠী’ এই নাশকতা ঘটিয়েছে মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “কয়েকটি জায়গায় যাত্রী বেশে বাসে উঠে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এর সাথে সরাসরি কারা জড়িত, কারা পরোক্ষভাবে এই নাশকতার কাজে মদদ দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।”