পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট।
Published : 06 Oct 2020, 07:42 PM
কোন কর্তৃত্ব বলে তিনি ওই পদে আছেন- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রিয়াজ উদ্দিনের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত মঙ্গলবার এই রুল জারি করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আগে রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা খারিজ হয়েছিল। পরে হাই কোর্টে রিট ফাইল করে তিনি নির্বাচনে জিতে আসেন।
“তার প্রার্থিতা যথাযথ ছিল না। ওই রিট মামলাটি বিচারাধীন। আমরা বলেছি এই রিট আবেদনের সাথে ওই রিট আবেদনটি শুনানি করতে।
“আমরা বলেছি, নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী আাড়াইশ জন ভোটারের স্বাক্ষর না নিয়েই তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। আর উনি এখনও এলজিইডির ঠিকাদার। উনি এখনও উপজেলার কাজ করে, বিল নেন। এটা উনি করতে পারেন না। আদালত শুনে কারণ দর্শাতে বলেছেন, যে কোন ক্ষমতাবলে উনি চেয়ারম্যান পদে আছেন।”
এলজিআরডি সচিব, নির্বাচন কমিশন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল), মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৮ জুন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন করে মোট নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বিজয়ী হন। পরে ২৭ জুন এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু।