‘র্যাগ ডে’ কে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আখ্যায়িত করে তা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Published : 03 Sep 2020, 12:40 AM
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সভায় কথিত ‘র্যাগ ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “র্যাগ ডে উদযাপন করতে গিয়ে অনেক সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়। তাই যেসব উদযাপন এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয় সেগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মার্জিত উপায়ে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী। ফেইসবুকে তারা বলছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগিংয়ের’ নামে শিক্ষার্থীদের যেভাবে হেনস্তা করা হয় তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় না।
“এখানে ঢাবিতে ‘র্যাগ ডে’র অনুষ্ঠানে জুনিয়র বা সিনিয়রদের অংশগ্রহণ থাকে না। ব্যাচে ব্যাচে আয়োজন হয়। পোলাপান নিজেরাই নেচে গেয়ে উল্লাস করে। নিষ্ঠুরতার খবর কোনো দিনই পাইনি,” লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কয়েক বছর সাংবাদিকতা করে আসা সাবেক এক শিক্ষার্থী।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদে ‘ইথিক্যাল রিভিউ’ কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং একাডেমিক পরিষদের তিন শতাধিক সদস্য যুক্ত ছিলেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনুষদ/বিভাগ/ইনস্টিটিউটকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সমন্বিতভাবে অসমাপ্ত সব পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি উপলক্ষে মৌলিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও গবেষণাধর্মী প্রকাশনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।