ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 18 Aug 2020, 07:20 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন।
দুদকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম আসামি সম্রাটের ডিওএইচএস ও কাকরাইলের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশনা চান।
শুনানি শেষে বিচারক সেই ফ্ল্যাট দুটি ক্রোকের আদেশ দেন বলে দুদকের আদালত পরিদর্শক মো. জুলফিকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
গত ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। গত ১৭ নভেম্বরে এ মামলায় সম্রাটকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন জুলফিকার।
এরপর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদনে বলা হয়, তদন্তকালে আসামি সম্রাটের স্ত্রী শারমীন চৌধুরীর নামে অবৈধ স্থাবর সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। সম্রাট ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে আরও স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেলে তা ক্রোকের জন্যও আবেদন করা হবে।
সম্রাট ছিলেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর ৭ অগাস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।