প্রবীণ রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতেন।
Published : 17 Aug 2020, 12:48 AM
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘শিক্ষা, সমাজ ও রাষ্ট্র ভাবনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনতিক সচিব ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল বলেন, “বঙ্গবন্ধু সব সময় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতেন। চট করে তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না যা মানুষ গ্রহণ করবে না।”
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে তিনি বলেন, “ধীরে ধীরে প্রথমে তিনি নিজেকে, তারপর তার দলকে, তারপর জাতিকে গড়ে তুলেছিলেন। যার জন্য জীবনের ১৩টি মূল্যবান বছর তাকে কারাগারের প্রকোষ্ঠে কাটাতে হয়েছে।”
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা তুলে ধরে সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধু তার কারাগারের রোজনামচাতে লিখেছিলেন, ‘শিক্ষাকে যদি আপন গতিতে চলতে না দেওয়া হয়, ফ্রিডম আব থট এন্ড থিংকিং যদি না থাকে, সেটা উচ্চ শিক্ষা হতে পারে ন ‘।
“তাই স্বাধীনতার পরে তিনি ৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। তারপর ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন প্রতিষ্ঠা করে ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্টের ব্যবস্থা করেন।”
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র ভাবনা তুলে ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র চিন্তা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ, যা ১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি।
“১৯৪৭ সালে যে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র ভাবনায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার রাষ্ট্র ভাবনা ছিল পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে স্বাধীন রাষ্ট্র তথা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।”
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলাকে থামিয়ে দেওয়াই ছিল জাতির পিতার হত্যার মূল উদ্দেশ্য।
“পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর আমরা দেখেছি সংবিধানকেও অবৈধভাবে ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে। আমাদের আত্মপরিচয়কে বিকৃত করা হয়েছিল।”
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন
বলেন, “রাজনৈতিক জীবনে অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু সবসময়ই আপসহীন ছিলেন। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জেলে গিয়েছেন সেখান থেকে বের হয়ে আবারও একই অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছেন।”