তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক মামুন মুস্তাফি জানিয়েছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা আজকে (মঙ্গলবার) কিছুটা চিন্তাযুক্ত। তার নিউমোনিয়ার পরিমাণ বেড়েছে। অবস্থা বিবেচনায় নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক মামুন মুস্তাফি ও নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে জাফরুল্লাহ চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।
তার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিটে (র্যাপিড ব্লট ডট) নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। পরে বিএসএমএমইউর আরটি-পিসিআর টেস্টেও একই ফল আসে।
আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু ক্রনিক কিডনি রোগী বলে তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সেজন্য পরে তাকে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি তিন দফা প্লাজমা থেরাপিও নেন।
২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার র্যাপিড ব্লট ডট কিটে নমুনা পরীক্ষায় তার নেগেটিভ আসে বলে জানান কিটের উদ্ভাবক বিজন কুমার শীল।
পরদিন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি বনানী কবরস্থানেও যান জাফরুল্লাহ।
সোমবার আরটি-পিসিআর কিটেও নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে জানিয়ে মামুন মুস্তাফি জানিয়েছিলেন, তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
একদিন পরই জাফরুল্লাহর নিউমোনিয়া বাড়ার খবর দিলেন তিনি।
কিডনির জটিলতার কারণে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতার নিয়মিত ডায়ালাইসিসও করতে হয়।