নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা কখনই বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে ঢাকার অলিগলিতে এসব রিকশার চলাচল ছিল বাধাহীন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝে মাঝে বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পর আবার বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়।
তবে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ‘সাধারণ ছুটিতে’ গণপরিবহন বন্ধ হয়ে গেলে পেটের দায়ে অনেক চালক গলি ছেড়ে রাজপথে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন।পুলিশ মাঝেমধ্যে ধরপাকড় করলেও পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
রোববার সকাল ১১টায় মালিবাগের বাসিন্দা আবদুস সোবহান নতুন বাজার যাওয়ার জন্য ব্যাটারির রিকশা ভাড়া করেন ৮০ টাকায়।
“জানি দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে, সেজন্য সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু কিছু করার নেই, দ্রুত কাজ করতে হবে। কারণ লকডাউনে তো পেট মানে না।”
আবদুস সোবহানকে বহন করা রিকশার চালক হাবিব লালবাগের কামরাঙ্গীরচরে থাকেন। আগে প্যাডেলের রিকশা চালালেও যাত্রীদের চাহিদা বেশি দেখে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাচ্ছেন।
তিনি জানালেন, গণপরিবহন না থাকায় অলিগলি ছেড়ে বড় রাস্তায় এসেছেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয় থাকলেও আয়-রোজগার ভালোই হচ্ছে। মালিকের জমা ১৫০ টাকা দিয়ে দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা থাকে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে বাটারিচারিত রিকশায় করে সেগুনবাগিচা যাচ্ছিলেন স্কুল শিক্ষক মোবারক হোসেন।
তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নেই, তারপরও দেদারছে চলছে তারা। কি করবে মানুষজনের তো চলতে হবে। বাধ্য হয়ে দ্রুত যেতে এই যানে উঠছে। সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বেশি। প্রেস ক্লাব থেকে ধানমন্ডি যাবেন অটোতে ৫০ টাকায় আর সিএনজিচালিত গাড়িতে ১৫০ টাকা চায়।”
সেখানে প্যাডেল রিকশার চালক জব্বার আলি বলেন, যাত্রীদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেক মালিকই রিকশায় ব্যাটারি লাগাচ্ছেন।
তবে ব্যাটারিচালিত রিকশায় দুর্ঘটনা আকছার নিজের চোখেই দেখেন বলে জানান জব্বার আলি।
অবৈধ এসব রিকশার চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মহামারীর মধ্যেও তৎপর হয়েছে পুলিশ।
জাতীয় প্রেস ক্লাব ও গুলিস্তানের সামনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব রিকশার সিটি করপোরেশনের কোনো অনুমোদন নেই, রাস্তায় চলছে অবৈধভাবে।
তাই তারা এসব রিকশা পেলেই আটক করছেন।