শিশুপ্রহরে মেলায় এসে প্রথম ঘণ্টায় একটি বই কিনেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলতান বিদ্যানিকেতনের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র আয়মান ইসলাম। তবে তার ফর্দ ‘অনেক’ দীর্ঘ।
Published : 07 Feb 2020, 03:25 PM
মেলার শিশু চত্ত্বরে জাফর ইকবালের শিশুতোষ রচনা ‘টিটু এবং মিনিবোট’ দেখিয়ে সে বললো, ‘‘আরও অনেক বই নিব। সুকুমার রায়ের বই নিব, সিসিমপুরের বই নিব…।’’
ঢাকা সিটি নির্বাচনের কারণে এক দিন দেরিতে শুরু হওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবার প্রথম শিশুপ্রহর পেল মেলার ষষ্ঠ দিনে এসে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সেই শিশুপ্রহরে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ছিল শিশুদের পদচারণায় মুখরিত।
বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসা আয়মান জানালো, গতবছর সে মেলায় এসেছিল, বইমেলায় আসতে তার ভালো লাগে; বই পড়তে ভালো লাগে।
মোহাম্মদপুর চিলড্রেন গার্ডেন স্কুলের শিক্ষার্থী বিবর্ত ভৌমিক মেলায় এসেছে বাবাকে নিয়ে, কিনেছে দীপু মাহমুদের লেখা ‘হাতির সাথি’, দেওয়ান আজিজের ‘নিনিয়া’সহ এক ডজন বই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে জানালো, বইমেলার তার ঘুরতে ভালো লাগে। বই সে শুধু নিজের জন্য কিনছে না, বন্ধুদেরও উপহার দেবে।
বিবর্তের বাবা সৌমেন ভৌমিক বলেন, “সকালে মেলার শুরুতেই ওকে নিয়ে এসেছি। ঘুরে ঘুরে ওর পছন্দে বই কিনে দিয়েছি। কিন্তু ওর আরও কেনা চাই।”
সিসিমপুর স্টলের পাশে দেখা গেল সিসিমপুরের চরিত্র ‘ইকরি’, ‘টুকটুকি’, ‘হালুম’দের সাথে খেলায় মেতেছে শিশুরা। তাদের উচ্ছ্বাস মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করছেন অভিভাবকরা।
মেলার বিক্রেতা ও প্রকাশকরা বলেন, বইমেলা ছয় দিন আগে শুরু হলেও শিশুদের কোলাহলে শুক্রবারই যেন প্রাণ পেল। আর শিশুপ্রহরে বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে।
শিশুতোষ রচনার লেখক ও পঙ্খিরাজের প্রকাশক দেওয়ান আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশুপ্রহর উপলক্ষে আজকে বইমেলা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শিশুরা প্রচুর বই কিনছে। স্টল ঘুরে দেখছে। বইমেলার আগের দিনগুলোর তুলনায় আজকে বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।’’
সিসিমপুরের বিক্রয় প্রতিনিধি ইমরান হোসেন বলেন, “আজকে শিশু প্রহরের মেলা যেমন দেখছেন, এমনটাইতো আমরা আশা করি। আমাদের বিক্রিও ভালো। স্টলে এসে বাচ্চারা খুব খুশি।’’
কথা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী ইয়াসিন রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশুদের জন্য বই কেনার পাশাপাশি অভিভাবকরা অন্য সব স্টলেও ভিড় করছেন। সবমিলে অন্যদিনের তুলনায় আজ আমাদের বিক্রি ভালো। আশা করছি বিকেলে আরও বাড়বে।’’