সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়াল এবং তার তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 03 Feb 2020, 06:22 PM
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. আলী আকবরের স্বাক্ষর করা নোটিসে তাদেরকে ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এর আগে বরিশালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন আলী আকবর।
তিন মামলাতেই আউয়ালকে আসামি করা হয়, এর মধ্যে একটি মামলায় তার সাথে স্ত্রী লায়লা পারভীনও আসামি।
এরপর গত ৭ জানুয়ারি তারা হাই কোর্ট থেকে তিন মামলায় আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
মামলাগুলোর তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রণব কুমার।
আউয়ালের বিরুদ্ধে এক মামলায় অভিযোগ করা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের করে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়েছেন। লিজ নেওয়া জমি স্ত্রীর মালিকানা দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয়।
একই প্রক্রিয়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।
আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করা হয় পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর নামে পরিচিত জায়গায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে রাখার অভিযোগে।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এসব মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।
তার আগে গত ১১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।
মামলার আগে গত ২৪ ডিসেম্বর আউয়ালকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় পুলিশের ইমেগ্রেশনে চিঠি দেয় দুদক।