বৃহস্পতিবার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী হুইলচেয়ার বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন তিনি।
শিরীন শারমিন বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়নে সামগ্রিক এবং যে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা তার মূলধারায় প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সুবিধা ও সুযোগ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত সুবিধার কারণে প্রতিবন্ধীদের চলাচল সহজগম্য করতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা যাতে আমরা করতে পারি এবং এই বিষয়টায় বিশেষ দৃষ্টি দিলে এটা করা সম্ভব সেটা আমরা বিশ্বাস করি ।”
চারটি পুরুষ ও দুটি নারী শারীরিক প্রতিবন্ধী হুইলচেয়ার দল এ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
নারী দলের মধ্যে জয়ী হয়েছে দল অপরাজিত আর রানার-আপ হয়েছে দল অপরাজয় অনন্যা। পুরুষ দলের মধ্যে জয়ী হয়েছে দল সিআরপি আর রানার-আপ হয়েছে সিডাপ দল।
সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মো. সবুজ মিয়া এবং সাবিনা খাতুন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোর করেন রত্না খাতুন এবং মো. রাকিব মাতব্বর।
জয়ী দলের ক্যাপ্টেন মারজানা বিনতে ফরহাদ বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমাদের খুব ভাল লেগেছে।
“আমাদের দলটা বেশ নতুন,দলের বেশ কয়জনের এটা প্রথম ক্যাম্প। কিন্তু তবু এ টুর্নামেন্টে আমরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জিতেছি। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম এবং ফাইনালি জিততে পেরেছি।”
“এরকম টুর্নামেন্ট আরো হওয়া প্রয়োজন, তাহলে আরো বেশি বেশি খেলোয়াড় উঠে আসবে এবং প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে ।”
সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি টেইলর বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজির সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনেও এটি প্রয়োজনীয়।
“এক্ষেত্রে হুইলচেয়ার বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট উপরের লক্ষ্যগুলো পূরণ করবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা এবং ক্ষমতা প্রমাণ করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।"
আইসিআরসির বাংলাদেশের হেড অফ ডেলিগেশন পিয়ের দ্যোখব বলেন, “বাংলাদেশে মূলত হুইলচেয়ার বাস্কেটবল এবং ক্রিকেট খেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মূলধারার সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি ।”