প্রবাসী লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো তিনজন।
Published : 02 Dec 2019, 05:05 PM
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত সোমবার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এরা হলেন- ঢাকা কলেজের ছাত্র টাঙ্গাইলের ভূয়াপুরের বাসিন্দা আমিনুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) চা দোকানি আবদুল হক ও হাবিব।
এদের নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট সাত জন সাক্ষ্য দিলেন বলে ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির জানিয়েছেন।
সাক্ষ্যে আমিনুজ্জামান বলেন, তিনি বইমেলায় ঘুরতে এসেছিলেন। বইমেলার প্রবেশপথে টিএসসির দিকে মটরসাইকেল রেখে তিনি মেলায় প্রবেশ করেন। মেলা থেকে বেরিয়ে মটরসাইকেল নিতে গেলে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
“এর অল্প কিছুক্ষণ আগে ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চাপাতি ও ব্যাগ উদ্ধার করে জব্দ তালিকায় তার স্বাক্ষর নেয়।”
সাক্ষ্য শেষে তিন জনকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করার পর বিচারক ১১ ডিসেম্বর বাকিদের সাক্ষ্য নেওয়ার দিন রাখেন।
এ মামলয় গত ২৮ অক্টোবর আদালতে প্রথম সাক্ষ্য দেন অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় কুমার রায়। পরে বিচারক আরো তিন জনের সাক্ষ্য নেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে আসার পর অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত হন বন্যা।ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস) ও শাফিউর রহমান ফারাবী।
আসামিদের মধ্যে প্রথম দুজন পলাতক আছেন।