অভিজিৎ হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন আরও দুজন

প্রবাসী লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় টিএসসির পানি ব্যবসায়ী মো. সেলিম ও  পুলিশ কনস্টেবল মো. নুরুল ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2019, 01:05 PM
Updated : 18 Nov 2019, 01:06 PM

সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে কারা সাক্ষ্য দেন। বিচারক আগামী ২ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে আসার পর জঙ্গি হামলার শিকার হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।হামলাকারীদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন অভিজিৎ। বন্যার হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে।

ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ১৩ মার্চ ছয় জঙ্গিকে আসামি করে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

পানি ব্যবসায়ী মো. সেলিম তার জবানবন্দিতে বলেন, হামলার ঘটনার পর টিএসসির মোড়ে দুইজনকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। আরও কাছে গিয়ে দুইজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই দুই সাক্ষীকে জেরা করতে অস্বীকার করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট চারজন এ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দেন।

গত ১ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।

আসামিরা হলেন - বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস) ও শাফিউর রহমান ফারাবী।

আসামিদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ পলাতক।