আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হলি আর্টিজান মামলার দণ্ডিত আসামির মাথায় আইএসের চিহ্ন সম্বলিত টুপি কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
Published : 27 Nov 2019, 04:14 PM
আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন অতিরিক্ত আইজিকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“কমিটি কারাগারের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণেই তাদের দুজনের মাথায় কালো টুপি দেখা যায়। সেই টুপিতে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল আইএস এর পতাকার চিহ্ন।
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামিদের কাছে কী করে ওই টুপি গেল, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুসি আব্দুল্লাহ আবুসহ অনেকেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বলেছেন, বিষয়টির ’তদন্ত হওয়া উচিত।’
জেলার মাহবুব আলম বলেছেন, রায়ের আগে কারাগার থেকে যাওয়ার সময় আসামিদের কারও মাথায় ওইরকম কালো টুপি ছিল না। রায়ের পর তারা ফিরলে তল্লাশি করা হয়েছিল, তখনও ওইরকম কালো টুপি পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রসিকিউশন পুলিশের উপ কমিশনার জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই টুপি আসামিরা সঙ্গে করে এনেছেন না আদালত চত্বরে কেউ তাকে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইএস কখনো টুপি ব্যবহার করত না। আইএসের কোনো টুপি নেই। যতটুকু জানা গেছে টুপিটিতে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লেখা ছিল। এটা অনেকেই ব্যবহার করে। এটা নব্য জেএমবির টুপি হতে পারে।”
তারপরও টুপিটি কীভাবে আসামিদের কাছে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এখনো আলামত হিসাবে টুপিটি পাওয়া যায়নি। পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এদিকে গুলশান হামলার রায় ঘিরে দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে আইজি প্রিজনস মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন।