কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইনের পুরস্কার লাভ

সাহিত্যে অবদান স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইনকে এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 04:36 PM
Updated : 12 Nov 2019, 04:36 PM

মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।

রাবেয়া খাতুনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সামগ্রিকভাবে সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। আর ‘নিঃসঙ্গ নক্ষত্র’ উপন্যাসের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন নবীন সাহিত্যিক সাদাত হোসাইন।

অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে রাবেয়া খাতুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ লাখ টাকার চেক, আর সাদাত হোসাইন পেয়েছেন এক লাখ টাকার চেক।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো তার পাশে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এ রকম ক্ষণজন্মা মানুষের পাশে থাকার সুযোগ অনেক কম লোকের ভাগ্যে জোটে।”

তিনি বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ‘ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট কমিউনিকেটর’। কারণ ওনার লেখনি সর্বমহলে সমাদৃত। তিনি ছোট-বড় থেকে শুরু করে স্কুলের বাচ্চাদের কাছেও সমান আকর্ষণীয় ছিলেন।”

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “অনেকেই বলেন, হুমায়ুন জনপ্রিয় লেখক তবে উঁচুমানের লেখক কি? কিন্তু জনপ্রিয় লেখক আর উঁচুমানের লেখকের মাঝে কোনো বিরোধ আছে বলে আমার মনে হয় না।

“যদি লেখক উঁচুমানে নাই হন তাহলে তার লেখা জনপ্রিয় হয় কীভাবে? এত বছর পরেও যারা এই বিতর্ক করে আমি তাদের বলব, আপনারা হুমায়ূনের বইগুলো আরও ভালোভাবে পড়েন।”

লেখকের সাথে তার স্মৃতিচারণ করেন তার অনেক নাটকে অভিনয় করা নূর: “হুমায়ূন অনেক বড় মাপের লেখক হতে পারেন। তাকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে হয়ত আরো বহুদিন আলোচনা হবে। কিন্তু তিনি আমার কাছে, আমরা যারা বন্ধু ছিলাম, এ রকম বন্ধু হয়ত আমাদের জীবনে আর আসবে না।”

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও ভাই অধ্যাপক জাফর ইকবাল।

পুরস্কার পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাবেয়া খাতুন বলেন, “পুরস্কার আমি আগেও অনেক পেয়েছি, কিন্তু হুমায়ূনের নামে এ পুরস্কারের স্বাদ অন্য রকম। আমার কাছে এই পুরস্কার পাওয়া যেন হুমায়ূনকেই পাওয়া এক রকম।”

পুরস্কার গ্রহণের পর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাদাত হোসাইন বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের নামে পাওয়া এই পুরস্কার আমার জীবনে অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পাক্ষিক অন্যদিনের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম এবং এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হায়দার আলী মিয়া।