গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতদের তিন মামলায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাই কোর্ট।
Published : 28 Oct 2019, 12:17 PM
একইসঙ্গে বেঁধে দেওয়া ওই সময়ের মধ্যে তাকে হয়রানি না করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহম্মদ ইব্রাহীমের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রোকন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিনজন লোক লেবার কোর্টে তিনটা মামলা করেছেন। এই তিন মামলায় ওনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। যখন মামলাটা ফাইল হয়, তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সময়ও তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
ফাইল ছবি
“আদালত আদেশ দিয়েছেন উনি দেশে ফিরে ফ্রিলি কোর্টে যেতে পারবেন। উনাকে কেউ হয়রানি করবে না। ইউনূস সাহেব ৭ নভেম্বরের মধ্যে কোর্টে হাজির হবেন।”
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতদের তিন মামলায় সমন পেয়েও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গত ৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম।
গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলমসহ তিনজন বেআইনভাবে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে গত ৩ জুলাই এই মামলা করেছিলেন।
এরপর শ্রম আদালত ইউনূসকে হাজির হতে গত ৮ অক্টোবর সমন জারি করেছিল।
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ইউনূসের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও হাজির হতে বলা হয়েছিল।
তারা দুজন ওইদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।