বুধবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের কৌঁসুলি বেলাল হোসেন জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন মামলায় এদিন ড. ইউনূসের সমনের জবাব দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।”
আদালতে শুনানিতে ইউনূসের কৌঁসুলি রাজু আহম্মেদ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করার অনুরোধ করলেও তা আমলে নেননি বিচারক।
অ্যাডভোকেট রাজু বলেছিলেন, “ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি ব্যবসার কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরলে আদালতে উপস্থিত হবেন।”
গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলমসহ তিনজন বেআইনভাবে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে গত ৩ জুলাই এই মামলা করেছিলেন।
এরপর শ্রম আদালত ইউনূসকে হাজির হতে গত ৮ অক্টোবর সমন জারি করেছিল।
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ইউনূসের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও হাজির হতে বলা হয়েছিল।
তারা দুজন বুধবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।