মাদকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনলাইনে জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
Published : 03 Oct 2019, 04:36 PM
দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোকন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত সোমবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে রাতে শুরু হয় র্যাবের অভিযান।
গুলশান ২ নম্বর সেকশনে সেলিম প্রধানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রধান গ্রুপের অফিস ও বাসা এবং বনানীর একটি অফিসে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ওই অভিযানে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করা হয়।
সেখান থেকে সাতটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া জব্দ করার পাশাপাশি সেলিমের কর্মচারী আক্তারুজ্জামান ও রোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় ওই দিনই সেলিম প্রধানকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন বুধবার গুলশান থানায় সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।
ওই দিনই ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে মাদকের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখে।
দুই মামলারই এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ নভেম্বর দিন রেখেছে আদালত। আইন অনুযায়ী মুদ্রাপাচার মামলার তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।