সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে আদালতের ডাকে হাই কোর্টে হাজির হয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
Published : 01 Aug 2019, 03:02 PM
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় তারা বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চে উপস্থিত হন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানও স্থানীয় সরকার সচিবের সঙ্গে রয়েছেন।
মশা মারার কার্যকর ওষুধ আনার বিষয়ে জানতে সকালে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে তলব করে। দুপুর ২টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
ঢাকায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুজ্বরে প্রকোপ বাড়তে শুরু করে গত জুন মাস থেকে। জুলাইয়ের শেষে এসে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ১৮৩ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংবাদপত্রে আসা খবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর অর্ধশত ছাড়িয়েছে।
এডিস মশার প্রজননস্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা না এলে এ রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রমে শিথিলতার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন মশা মারতে যে ওষুধ দিচ্ছে তা কার্যকর নয় বলে আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় উঠে আসে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আনতে কত দিন লাগবে, তা গত ২৫ জুলাই জানতে চেয়েছিল হাই কোর্ট। দুই সিটি করপোরেশন ও রাষ্ট্রপক্ষকে সুনির্দিষ্টভাবে তা হলফনামা আকারে জানাতে বলা হয়েছিল।
আদালত গত মঙ্গলবার এক আদেশে মশা মারার যথাযথ ওষুধ আনতে কত সময় লাগবে, তা বৃহস্পতিবারের দুপুরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেয়। দুই সিটি করপোরেশন ও রাষ্ট্রপক্ষকে সুনির্দিষ্টভাবে তা হলফনামা আকারে জানাতে বলা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মশার ওষুধ আনার দায়িত্ব সরকারের। ছিটানোর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মশা মারার ওষুধ সিটি করপোরেশনই আনবে। সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
পরে জরুরি পরিস্থিতিতে মশা মারার ওষুধ আনার বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তলব করে হাই কোর্ট।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে এদিন আদালতে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ রাজা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।