মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় পাঁচ শতাধিক গবেষণাধর্মী ও মননশীল বই নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা’।
Published : 08 Jul 2019, 12:59 AM
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘শ্রাবণ প্রকাশনী’।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সামনে বেলুন উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবায়দা নাসরিন, কবি মাজহার সরকার ও ডাকসুর সহ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। বক্তব্য দেন শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবীন আহসান।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, “আমার ছাত্র-ছাত্রীরা এ মেলা থেকে উপকৃত হবে এবং নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে আশা করি।”
অধ্যাপক জোবায়দা নাসরিন বলেন, “আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মেলায় আসবে, অংশ নেবে, বই দেখবে ও অন্যদেরও আসতে উৎসাহিত করবে।”
কবি মাজহার সরকার বলেন, “বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আদর্শচর্চায়। তাই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যপাঠ ও বইমেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, “এ কার্যক্রমের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ একাত্মতা ঘোষণা করছে। ভবিষ্যতেও আমরা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইমেলা যৌথভাবে আয়োজন করতে চাই।
রবীন আহসান জানান, মেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যে কোনো বই ২০ শতাংশ ছাড়ে এবং শ্রাবণ প্রকাশনীর বই ৪০ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, “পাঠকের কাছে গিয়ে বই পৌঁছে দিতেই এই ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। গত বছর ডিসেম্বর থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু করি আমরা। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুল-কলেজসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ মেলা করেছি এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সাড়া পেয়েছি।”