সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়াতে আগামী জুনের মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 30 May 2019, 04:22 PM
বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে নবম ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি বলেন, “নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। আসলে বিষয়টি আরও আগেই আমরা সমাধানে যেতে পারতাম। আরও আগেই আমরা ঘোষণা দিতে পারতাম।
“আমাকে সভাপতি করার পরপরই আমি একটি মিটিং করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেদিন আমরা নোয়াবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মূলত আলোচনা করেছি। এর পরপরই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।”
আলোচনার অগ্রগতি জানিয়ে কাদের বলেন, “একটি বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছি- এ বিষয়টিকে আর ঝুলিয়ে রাখা সমীচীন হবে না। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সমাধান করে সবার কাছে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটা ঘোষণা দেব। নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের বিষয়ে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।”
বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে ১২ জুন বেলা ১১টায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা জানিয়ে কাদের বলেন, “বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে সেই যৌথ সভাটি আমরা করব। সেদিন সকল পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
“জুন মাসের মধ্যে, এই অর্থবছরের মধ্যে এই রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত আমাদের ঘোষণা পেশ করব, এটাই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অংশ নেন।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন।
দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে থাকার পর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গতবছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়।
বিচারপতি নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।