ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আগামী ১৬ জুন তার দুই শিক্ষককে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হবে, তারা দোষী না নির্দোষ।
Published : 21 May 2019, 06:39 PM
সেদিন দোষ স্বীকার করলে তাদের নিজেরাই শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। আর নির্দোষ দাবি করলে শুরু হবে বিচারের প্রক্রিয়া।
সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সেই বিচার, এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে হবে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক, তারপরই পরে রায়।
মামলাটি এখন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রয়েছে। এই আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম মঙ্গলবার এক আদেশে আগামী ১৬ জুন আলোচিত এ মামলার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করেন।
মামলার আসামি ভিকারুননিসার প্রধান ক্যাম্পাসের দুই শিক্ষক হলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান শিক্ষক জিনাত আরা।
মামলাটিতে আসামি ছিলেন অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাও। তবে অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম গত ২৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন আদালতে।
অভিযোগপত্রসহ মামলার নথিপত্র গত ৫ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সপ্তাহখানেক পর বিচারের জন্য নথিপত্র আসে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে নামে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।
এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী।
অরিত্রীর আত্মহত্যার পর তার সহপাঠিদের বিক্ষোভে নামে, তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তখন অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিলে, পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।