সেই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সকল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।”
ফণী বাংলাদেশ উপকূলের ৯১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার ভারতের পুরীর কাছে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এরপর সন্ধ্যার দিকে ফণী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
বাংলাদেশে এখনও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন একটা দেখা না গেলেও শুক্রবার সকাল থেকেই ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি চলতে পারে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।
বিআইডাব্লিউটিএ-এর জন সংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাধারণত নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলে ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
“তবে উপকূলে বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।