রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি কেউ যেন রাসায়নিক মিশিয়ে বাজারে ফল বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ প্রধান, র্যাব মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) একটি তদারকি কমিটি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আদেশটি বাস্তবায়ন করে শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আসন্ন আমের মৌসুম সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত মঙ্গলবার মৌখিক আদেশের পর রিটকারী পক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা সাত দিনের মধ্যে পুলিশ মোতায়েনের কথা বললেও লিখিত আদেশে নির্বাহী হাকিমের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নজরদারি করার নির্দেশনা দেখা যায়।
এদিকে হাই কোর্টের আদেশটি স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সোমবার চেম্বার আদালতে একটি আবেদন করলেও মঙ্গলবার তা প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার আদালত তখন উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ করে দেয়।
এর ফলে হাই কোর্টের আদেশটিই বহাল থাকছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, “হাই কোর্ট লিখিত আদেশ নিয়ে বলেছে, রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানগুলোতে যেন কেউ ক্ষতিকারক কেমিকেল প্রয়োগ করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ মনিটরিং করবে।
“আমরা দেখেছি হাই কোর্টের আদেশ আইনের সঙ্গে সম্পূরক এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এ কারণে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে যে আবেদন করেছিলাম, সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
ফল পাকাতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি রায় দিয়েছিল।
মামলাটি চলমান রাখায় এ বছর আমের মৌসুম সামনে রেখে গত রোববার হাই কোর্টে আবেদন করে রিটকারী পক্ষ। যার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট এ আদেশ দিল।