উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আইন প্রণেতাদের ব্যাপক প্রভাব খাটানো ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগেরে মধ্যে আরও ছয়জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 07 Mar 2019, 10:38 PM
শুক্রবারের মধ্যে সুনামগঞ্জ-২, কুড়িগ্রাম-৩, হবিগঞ্জ-৩, কুড়িগ্রাম-১, সুনামগঞ্জ-১ ও লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে ইসিকে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে তাদের।
আগামী ১০ মার্চ শুরু হচ্ছে পাঁচ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তার আগেই এই নির্দেশনা দেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার ইসির উপ সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সহকারী পরিচালক আশাদুল হক।
এ কর্মকর্তা বলেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের জয়া সেন গুপ্ত, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের মো. আবু জাহির, কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগর, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেনকে ৮ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকা ত্যাগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে এ নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এর আগে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে , নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোণা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে অনতিবিলম্বে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বলেছিল ইসি।
এমপিদের আটকাতে উপায়ান্ত না পেয়ে স্পিকারের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম, নূরুল হুদা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা কোনো নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে ভোট দিতে যেতে পারবেন।
রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি
উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, “সব রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আজ চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কাউকে কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
“এর পরও ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে ও অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে দায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকেই নিতে হবে।”
২০১৪ সালেও তৎকালীন কমিশন উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে অবাধে ব্যালটে সিল মারার ঘটনা স্বীকার করে এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছিল।