দুর্নীতি দমন কমিশনের (মামলায় ‘ভুল আসামি’ কারাগারে থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Published : 29 Jan 2019, 06:59 PM
মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের ৩৩টি মামলার আসামি আবু সালেকের বদলে ‘ভুলে’ প্রায় তিন বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন জাহালম নামে আরেক ব্যক্তি।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সোমবার হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুদক চেয়ারম্যানের মনোনীত প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের মনোনীত প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তলব করেছে।
আসামি না হয়েও ‘ভুলবশত’ জাহালম কারাগারে থাকার বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। গত ছয়-সাত মাস আগে হবে বোধহয়, আমি জেনেছি একজন লোক আরেকজনের নামে জেল কাটছে।
“উই আর শেইম। প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিরিয়াস একটা গলদ হয়েছে আমাদের। আমরা এই গলদ যখন আইডেনটিফাই করেছি তখনই কিন্তু আমরা জাহালমকে ছাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আজকে আমি আমার কর্মকর্তাদের বলেছি, এই ৩২টি মামলায় যখন জাহালম বের হয়ে যাবে, তখন আরেকটা অনুসন্ধান করে মামলা হাতে নিব। এটা কেমনে হল, কার কার কারণে হল, বাদীর কারণে, নাকি যে লোকটি আসল অফেন্ডার, সে এটাকে ম্যানিপুলেট করেছে, এসব বের করা হবে।”
এ ‘ভুলের’ সাথে অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকতে পারে মন্তব্য করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “ভেতরেরটা জানতে হবে। আমি নিশ্চিত না, তবে যতটুকু জানতে পেরেছি যে, আমরা দুদক তো কোনো লোককে চিনি না। এটা একার কাজ নয়।”
“শুধু দুদককে দায়ী করলে হবে না। দুদক তো এনআইডি চেঞ্জ করেনি। এখানে ব্যাংক, পুলিশ যারা কাজ করেছে তারা সবাই মিলে একটা ভুলের মধ্যে পড়ে গেছে, এটা আমার ধারণা।”
তিনি বলেন, “এই মামলাটা ব্যাংক করেছিল, ব্যাংক আমাদের বলেছে- এই হচ্ছে জাহালম। তারা আইডেনটিফাই করেছে, এক। দুই, পুলিশ সাক্ষী হিসেবে আইডেনটিফাই করেছে। তিন, এনআইডি যে কার্ড, তারা তৈরি করেছে যে সালেক হচ্ছে ওই লোক (জাহালম)।”
হাই কোর্টের তলবে দুদক থেকে প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত থাকবেন জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “এখন এটা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আছে, তবে এটুকু আমরা বলতে পারি- এ দুঃখজনক ঘটনার জন্য লজ্জিত। আদালত আমাদের ডেকেছে আমরা যাব, আদালতে ব্যাখ্যা করব। আদালত যা বলে তাই হবে।”