বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘ডাকসু নির্বাচন: ভোটকেন্দ্র নিয়ে দুই মত সংগঠনগুলোতে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
Published : 22 Jan 2019, 08:22 PM
সোমবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদন নিয়ে মঙ্গলবার ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক রাজীব দাস রাজ ই মেইলে পাঠানো এক প্রতিবাদপত্রে বলেন, আগের দিন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের ভোটার করার সুপারিশ তাদের সংগঠন করেনি।
তিন দশক পর ডাকসু নির্বাচনের তোড়জোড় শুরুর পর সোমবার পরিবেশ পরিষদের বৈঠক ডেকে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
ডাকসু নির্বাচনে ভোটার কারা হবে, সে বিষয়ে মতামত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মতামত নেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
ওই বৈঠকে ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদেরও ভোটার করার দাবি জানান বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক ছাত্রনেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন।
ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, “ডাকসুর ভোটার ও প্রার্থিতার বিষয়ে যোগ্যতা নির্ধারণের আলোচনায় ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত যে সকল শিক্ষার্থী ডাকসুর চাঁদা ও হল সংসদের চাঁদা প্রদান করছেন, তারা প্রত্যেকেই ডাকসুর ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার নৈতিক অধিকার সংরক্ষণ করেন।
“বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সকল বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করার দাবি জানায়। ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই একবেলা পাবলিক ও একবেলা প্রাইভেট নীতিতে চলতে পারে না। সভায় অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল কোর্স বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।”
লিটন নন্দী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বৈঠকে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের ভোটার করার প্রস্তাব তোলেননি।
বৈঠকে লিটন নন্দীর ওই প্রস্তাব তোলার প্রসঙ্গটি সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
লিটন নন্দীর সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের ভোটার করার দাবি তোলার খবরটি সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশেও এসেছে।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি লিটন নন্দী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। চলতি মাসেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ‘মাস্টার্স ইন গভর্ন্যান্স স্টাডিজ’ নামে একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তিনি।