এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
এছাড়া ওইসব কোম্পানির জলাশয়, পুকুর ও জলাভূমি ভরাট ও দখল এবং কোম্পানির সাইনবোর্ড স্থাপন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। জলাশয়, পুকুর ও জলাভূমি রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
এই ১৬ আবাসন কোম্পানি হল- প্ল্যাটিনাম পূর্বাচল সিটি, সিটি ক্লাউড, কানাডা সিটি, জমিদার সিটি, ড্রিমল্যান্ড, হোমল্যান্ড পূর্বাচল সিটি, হোমটাউন পূর্বাচল সিটি, প্রিটি রিয়েল এস্টেট, মাসকট গ্রিন সিটি, পুষ্পিতা এমপায়ার হাউজিং, রিমঝিম হাউজিং, নন্দন সিটি, বেস্টওয়ে সিটি, মালুম সিটি, মেরিন সিটি এবং সোপান সিটি।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পূর্বাচল নতুন শহরের আশপাশের এলাকায় জলাশয়, পুকুর ও জলাভূমি রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুসারে নদীর জায়গা দখল ভরাট সম্পূর্ণ নিষেধ।
“কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রূপগঞ্জে এবং কালিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি আবাসন কোম্পানি অবৈধভাবে জলাশয়, জলাভূমি, নিচু ভূমি ও পুকুর ভরাট করছে এবং বিভিন্ন কোম্পানির সাইনবোর্ড স্থাপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর ফলে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর।”
শুনানি শেষে আদালত গত তিন বছরের এরিয়েল ম্যাপ (গুগল অথবা স্যাটেলাইটের ম্যাপ) সংগ্রহ করে পূর্বাচল নুতন শহর এলাকার আশপাশে রূপগঞ্জ এবং কালিগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকার জলাশয়, জলাভূমি, নিচু ভূমি ও পুকুর ইত্যাদি চিহ্নিত করে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান মনজিল মোরসেদ।