সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছরে উন্নীত এবং অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আবারও সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
Published : 10 Sep 2018, 06:33 PM
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষাপটে গত জুনে সংসদীয় কমিটি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ করার জন্য সুপারিশ করে।
সোমবারের বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, এই সুপারিশ বাস্তবায়নে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি সরকারি নীতি–নির্ধারণী সম্পর্কিত। এ বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুল্লাহ, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও খোরশেদ আরা হক অংশ নেন।
গত জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯ তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির ২১তম সভায় বয়স ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বাড়ানোর একটি আলোচনা চলছে।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। তবে অধ্যাদেশ জারির কারণে তা ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এছাড়া গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬০ বছর করার ঘোষণা দেন।
চাকরিপ্রার্থীরা যুক্তি দেখান, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়োগ দেয় না। ফল বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
২০১৬ সালের মে মাসে জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমরা যুব বয়সের মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা চাই সকলে সময়মত পড়াশুনা করে চাকরিতে প্রবেশ করুক। এজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”