মোহম্মদপুর এলাকার সাতটি পার্কের বর্তমান অবস্থা ও সমস্যা তুলে ধরে এর উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
Published : 02 Sep 2018, 12:50 AM
শনিবার মোহাম্মদপুর রিং রোডের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেনের ২২টি পার্ক ও ৪টি খেলার মাঠ আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পার্কের জন্য টেকসই উন্নয়নমূলক নকশা প্রণয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত গ্রহণের জন্য এটি মূল্যায়ন সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় লালমাটিয়া ব্লক ডি পার্ক, শিয়া মসজিদ পার্ক (সোনালী মাঠ), ইকবাল রোড পার্ক, উদয়াচল পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, শহীদ পার্ক, শ্যামলী শিশু পার্কের টেকসই উন্নয়নে মতামত দেন পার্ক ব্যবহারকারী ও এলাকার বাসিন্দারা।
পার্কগুলোর টেকসই উন্নয়নে পার্কের চারিদিকে হাঁটার পথ তৈরি, মাঝে খেলার মাঠ তৈরি, নারী-শিশু-বৃদ্ধদের জন্য বসার স্থান নির্মাণ, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট নির্মাণ, পার্কে পর্যাপ্ত আলো ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, জিমনেসিয়াম ও লাইব্রেরির তৈরির প্রস্তাব দেন স্থানীয়রা।
এছাড়াও মাঠের চারপাশের দখল উন্মুক্ত করা, দোকানপাট উচ্ছেদ, ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নত করারও প্রস্তাব করেন তারা।
পার্কের টেকসই উন্নয়নে এটি রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দেন তারা।
সরকার ও সিটি করপোরেশনের বাইরে পার্কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পার্ক ব্যবহারকারীদের মধ্য থেকে নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর প্রতিনিধি নির্বাচনের আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা নাইমুল আজিজ শহীদ পার্কের বিভিন্ন সমাধান তুলে ধরে বলেন, “রাতে পার্কটিতে মাদকের আসর বসে। পার্কে পর্যাপ্ত গাছ নেই, ময়লা-আবর্জনায় পার্কটির রুগ্ন দশা। খেলার পরিবেশও নেই।”
পার্কের বাইরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, মাদকাসক্তদের আসর সরানো, পর্যাপ্ত গাছ লাগানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “খেলার মাঠ, পার্ক এগুলো রক্ষা করা আসলে কঠিন কাজ। ক্ষমতায় আসলে কত লীগ হয়, অমুক লীগ-তমুক লীগ। সবাই এসব জায়গায় পার্টি অফিস করতে চায়। পার্টি অফিসের নামে চলে দখলদারি।”
পার্ক ও খেলার মাঠ আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “পার্ক ও মাঠের জায়গাগুলো পুনরুদ্ধার করে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যা যা করা দরকার, তা আমরা করব।”
প্রকল্পের টেকসই উন্নয়নমূলক নকশা প্রদানের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড এর পরিচালক ইকবাল হাবিব বলেন, “ঢাকা শহরে যে পরিমাণ মানুষ, সে তুলনায় পার্ক-মাঠ খুবই কম। আলাদা খেলার মাঠ,পার্ক- এমন সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে এসে যতটুকু উন্মুক্ত জায়গা আছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একটি পার্ক কিংবা মাঠকে সর্বস্তরের মানুষের ব্যবহারের উপযুক্ত করে তৈরি করতে হবে।”
“প্রতি ইঞ্চি জায়গাকে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু উন্নয়ন নয়, অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে যেন জনগণের মধ্যে মালিকানাবোধ জাগ্রত হয় সেজন্যই এ সভার আয়োজন।”