একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অধিকাংশ নতুন দল নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ‘পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও দলিল’ জমা দিতে না পারায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আরও ১৫ দিন সময় দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 11 Mar 2018, 11:04 AM
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাছাইয়ে কয়েকটি দল অযোগ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় দলিলাদি না থাকায় বা অস্পষ্ট হওয়ায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা পুনরায় জমা দিতে তাদের চিঠি দেওয়া হবে।”
এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আগ্রহীদের কাছে আবেদন চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ৭৬টি দল নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনের আবেদন করে।
চলতি মাসেই নিবন্ধন চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ইসির নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটি বৈঠকে বসে। নিবন্ধন ফি, গঠনতন্ত্র ও আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুয়েকটি দলের বাইরে কোনো দলই ইসির চাহিদা অনুযায়ী ‘পূর্ণাঙ্গ তথ্য’ জমা দেয়নি।
অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন উপযোগী হিসেবে যাদের বাছাই করা হবে, তাদের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় ও কমিটি রয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পাওয়ার পর শর্ত পূরণকারীর দলগুলোর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। তাদের বিষয়ে দাবি-আপত্তি শেষে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
বর্তমানে কমিশনে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনের সময় মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পায়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার বাছাইয়ে ‘টিকে থাকার’ মত চার-পাঁচটি দলের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তবে নিবন্ধনের জন্য আরও প্রক্রিয়া বাকি। সব ধাপ শেষে কয়টি দল নিবন্ধন পাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে ইসির লক্ষ্য অনুযায়ী মার্চের মধ্যে যে নতুন দলের নিবন্ধন শেষ হচ্ছে না, তা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, “নতুন দলকে ১৫ দিন সময় দেওয়া, বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি-আপত্তি সময় দেওয়া এবং মাঠের তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি- সব মিলয়ে এ মাসে কাজ শেষ হবে না। আগামী মাসেও যদি এ কাজ শেষ করতে পারি, তাহলে অসুবিধা হবে না আশা করি।”
সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।