ঢাকা উত্তরের ভোট: আপিল বিভাগের শুনানি পেছাল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচনের ওপর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিলের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2018, 04:33 AM
Updated : 22 Feb 2018, 04:33 AM

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এ শুনানি হচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশনের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামালের অনুপস্থিতিতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মোহম্মদ আশরাফ-উজ-জামান খান শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।

এরপর আদালত আদেশে বলে- ‘নট টু ডে’।

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেওয়া হয়।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

তাদের যুক্তি ছিল, ইসি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ না করেই তফসিল দিয়েছে। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনি নিজেও জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হয়। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে তা দেওয়া সম্ভব না।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, “মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।”

উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টির ওয়ার্ড ধরলে কাউন্সিলরের সংখ্যা পঁচাত্তর শতাংশ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে এখনও নির্বাচন হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই গঠন করা যায় না বলে যুক্তি দেয় রিট আবেদনকারী পক্ষ।

তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে গত ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।  

ওই নির্বাচনের তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়।

হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করে ইসি। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ইসির আবেদন বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।