হোম
+
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘অশালীনতার’ অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছেন এক নারী শিক্ষার্থী।
Published : 20 Feb 2018, 07:05 PM
বাংলা বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তাকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে ‘নগ্ন হয়ে নাচতে’ বলেছিলেন তার বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস।
মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থী উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি একজন শিক্ষক, উনি এমন কথা কীভাবে বলেন?”
ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বরে জানা যায়, সোমবার ক্লাসে ওই নারী শিক্ষার্থী পাশের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বললে তাকে দাঁড় করান শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস। ক্লাসে কেন কথা বলছেন, তা জানতে চান।
“এক পর্যায়ে স্যার বলেন, ‘ক্লাস ভালো না লাগলে বাইরে চলে যাও এবং নগ্ন হয়ে নাচো, তুমি তো মেয়ে, মেয়েরা নগ্ন হয়ে তো নাচেই, তুমি নাচতেই পার’,” বলেন ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বলেন, “ক্লাসে কথা বলা আমার অন্যায় হয়েছে, তা স্বীকার করছি, তাই বলে আমাকে নগ্ন হতে হবে?”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসতে ফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে প্রশ্ন করেন, “অভিযোগ কি আপনি দিছেন? আপনি এর সাথে জড়িত?”
“তা কী করে হয়”- উত্তর দেওয়া হলে মিল্টন বিশ্বাস ‘আমি এসব কিছু জানি না’ বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি জানি না, এর কী বিচার হওয়া উচিৎ। বিষয়টি আমার কাছে প্রচণ্ড লাঞ্ছনার মনে হয়েছে। তাই লিখিতভাবে প্রক্টর এবং উপাচার্যকে জানিয়েছি। এখন তারা যা ব্যবস্থা নেবেন।”
প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে।
“তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা প্রক্টর নয়, বরং উপাচার্য বরাবর হয়। তাই আমরা তার অভিযোগটি দেখিনি।”
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে ফোন করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মিল্টন বিশ্বাস আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ছিলেন, পরে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন।
