রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
Published : 31 Jan 2018, 12:12 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকার, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিবকে বুধবার সকালে ডাকযোগে ওই নোটিস পাঠানো হয়।
ইউনুছ আলী আকন্দ বিডিনেউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল বা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি হাই কোর্ট রিট আবেদন করবেন।
নোটিসে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সেই হিসাবে তার মেয়াদ চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পূর্ণ হবে।
সংবিধানের ৫০(১) এ বলা আছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তার উত্তরাধিকারী-কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল থাকবেন।
৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ক্ষেত্রমত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
আর ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে ওই পদ শূন্য হলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের আগের নব্বই হতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন হবে।
তবে যে সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেই সংসদের মেয়াদে রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হলে সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শূন্য পদ পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন হবে ন। সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির শূন্য পদে নির্বাচন দিতে হবে।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলছেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদগুলোর পাশাপাশি ৩১, ৫০, ৫৪ অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
“এই কারণে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পিকারসহ যাদের কাছে নোটিসটি পাঠিয়েছি তাদের কাছে অনুরোধ, নোটিস জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষিত তফসিল বাতিল বা প্রত্যাহার করবেন। তা না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে।”