গতবছর দেওয়া বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
Published : 07 Jan 2018, 04:14 PM
এর ফলে আগামী ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ওই তিন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
গত বছরের বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রয়ত্ত আটটি ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক খোকন; সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম ও মির্জা সুলতান আল রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে রাশেদুল হক খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের যে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল- সে বিষয়ে আদালত এই নির্দেশনা দিয়েছে।
ওই বছরের ২৬ জুলাই রূপালী ব্যাংকে ৪২৩টি শূন্য পদে সিনয়র অফিসার ও ৩ আগস্ট জনতা ব্যাংকের ৭৩৬টি শূন্য পদে অ্যাসিসট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু সেসব পদে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে গত বছরের ২৩ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কর্মকর্তার (সাধারণ) এক হাজার ৬৬৩টি শূন্য পদের জন্য সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এরপর ২৯ অগাস্ট তিন হাজার ৪৬৩টি কর্মকর্তা (সাধারণ) পদের জন্য আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ২৪৬টি কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তারিখ রাখা হয় ১২ জানুয়ারি।
কিন্তু ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির পর আবেদন করা প্রার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে ২০১৭ সালে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বগুড়ার আসাদুজ্জামান, কুমিল্লার আবু বকরসহ ২৮ জন হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন। সেখানে ২০১৭ সালের নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার বাতিল চাওয়া হয়।
রিটকারীদের আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় পরীক্ষা নেওয়ার আগে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থসচিব, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।