মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে বৃহস্পতিবার মৌচাক-মালিবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
Published : 25 Oct 2017, 03:45 PM
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার সঙ্গে থাকবেন।
আর পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকবেন মৌচাক এলাকায় বানানো অনুষ্ঠান মঞ্চে।
মেয়র সাঈদ খোকন বুধবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য মৌচাক এলাকায় প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। এ কারণে ওই এলাকায় যানজট হতে পারে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে থাকবেন। আমরা থাকব এই প্রান্তে। সেখানে একটা অনুষ্ঠান হবে। এ কারণে ওই রাস্তাটা বন্ধ থাকবে। নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা খুব জরুরি কাজ না থাকলে ওই এলাকার সড়ক ব্যবহার না করেন। যানজট এড়াতে তারা যেন বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করেন।”
মেয়র বলেন, “শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা ব্যক্তি, সংগঠন অনুষ্ঠানে আসবেন। লোক সমাগম বেশি হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্ন হতে পরে। এ কারণে আমরা অনুরোধ করছি এ এলাকা এড়িয়ে চলতে।”
রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণের তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এ বছর ১৭ মে।
তার আগে, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন।
ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।
ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।