মিরপুরের দারুসসালামে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ নিহত সাতজনের পোড়া দেহাবশেষ দেখে দুজনকে শিশু হিসেবে শনাক্ত করলেও বাকিদের লিঙ্গ পরিচয় বুঝতে পারেননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
Published : 07 Sep 2017, 06:00 PM
বৃহস্পতিবার দুপুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল এই ময়না তদন্ত করে।
মিরপুর মাজার রোডের পাশে বর্ধনবাড়ি ভাঙ্গা ওয়ালের গলির একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সোমবার রাত থেকে ঘিরে রাখার পর মঙ্গলবার রাতে সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ওই বাসায় আগুন ধরে যায়।
এরপর বুধবার সেখানে তল্লাশি চালিয়ে সাতজনের খুলি ও পোড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। দেহাবশেষ ও নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।
র্যাব বলছে, বিস্ফোরণের আগে সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী নাসরিন ও ফাতেমা, তিন থেকে নয় বছর বয়সী দুই ছেলে ওমর ও ওসামা এবং আবদুল্লাহর দুই কর্মচারী ওই বাসায় ছিলেন।
আর বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে এসেছে সাতটি মাথার খুলি এবং কয়েকটি পুড়ে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। কোথাও মাংস ছিল না।”
তিনি বলেন, “সাতটি খুলির মধ্যে দুটি ছোট হওয়ায় সহজে বোঝা যায় এগুলো শিশুর। তবে বাকি পাঁচটির মধ্যে কোনটি নারীর এবং কোনটি পুরুষের তা বোঝার উপায় নেই।”
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য ওই দেহাবশেষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে বলে সোহেল মাহমুদ জানান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আবদুল্লাহর নিকট আত্মীয়রা দাফন করার জন্য পাঁচজনের দেহাবশেষ নিতে রাজি হননি।
আর বাকি দুইজনের বিষয়ে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
তারা জানান, শনিবার রাত থেকেই কামালউদ্দিনের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে মঙ্গলবার টেলিভিশনে আব্দুল্লাহর বাড়িতে র্যাবের অভিযানের কথা তারা জানতে পারেন।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, “সাতটি মৃতদেহ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে কয়লার মত। তাদের আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।… সবাইকে শনাক্ত করতে সময় লাগবে।”