ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে জাতীয় সংসদকে ‘অকার্যকর’ বলার সমালোচনা করে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, এই সংসদ যখন বিচারকদের বেতন-ভাতা ঠিক করে তখন তো আদালত দ্বিমত করেনি।
Published : 24 Aug 2017, 01:43 AM
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার এক আলোচনা সভায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, “সংসদ যদি অকার্যকর হয়,সংসদ সদস্যরা যদি অদক্ষ হন তাহলে এই সংসদই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন এবং সেই রাষ্ট্রপতিই প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।
“নিয়োগের বিষয়ে তো তাদের কোনো প্রশ্ন নেই। এই সংসদই বিচারকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, সেটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও তো তাদের কোনো দ্বিমত আমরা লক্ষ করিনি।
“কিন্তু যখন বাহাত্তরের এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ষোড়শ সংশোধী বিল আনল এবং সংসদ সেটি পাশ করল ঠিক তখনই সংসদ ও সরকার বিচার বিভাগের বিরাগভাজন হয়ে পড়ল।”
বিভিন্ন বিষয়ে সংসদ ও সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপড়েনের মধ্যেই অগাস্টের শুরুতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট, যা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি সিনহা বাংলাদেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
সেখানে ‘বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কড়া সমালোচনা করে আসছেন; তাদের বাক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
সংসদের এলডি হলে ওই অনুষ্ঠানে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, “যারা জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। জাতির পিতার জন্ম না হলে এ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হত না। আর বাংলাদেশ না হলে দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো বাঙালি আসীন হতে পারতেন না। ”
শেরে বাংলানগর গণপূর্ত ঠিকাদার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেডের আয়োজনে ওই সভায় ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, “একজন অ্যামিচি কিউরি,যিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনিই আজ ’৭২ এর সংবিধান পরিপন্থি কথা বলছেন।
“অনেকটা নিজেই নিজের সন্তানকে হত্যা করার মতো কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তার কাছ থেকে এমন স্ববিরোধী কথাবার্তা জাতি আশা করেনি।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো.আবু দায়েন মীরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ডিএনসিসি’র কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান,শেরে বাংলানগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ছাব্বির হোসেন মাছুদ বক্তব্য রাখেন।