ঢাকায় মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি

ঢাকায় বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বৃষ্টির সঙ্গে যানজটের দুর্ভোগ

ঢাকায় বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

নাজিমুদ্দিন রোডে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি প্রতি বর্ষায়

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ঢাকায় ১০৩ মিলিমিটার, এরমধ্যে রাতেই বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার।

বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার বিকাল থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আষাঢ়ের শেষে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ভারি বৃষ্টি আরও দুই দিন চলবে।

চলতি মৌসুমে রাজধানীতে দুই দফা ভারি বর্ষণ হল। বর্ষা শুরু হওয়ার আগে গত ১২ জুন নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

রুহুল কুদ্দুস বলেন, “ঢাকাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে কয়েকদিন পর। বিশেষ করে শুক্রবার বিকাল থেকে ভারি বর্ষণ কমতে পারে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় মাত্র ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রাজশাহীতে ৮৬ মিলিমিটার। ইতোমধ্যে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে দেশের ১৩টি জেলার ৪৫ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

জলজটে স্থবির রাজধানী

ঢাকায় রাতের ভারি বৃষ্টির প্রভাবে সকালে পুরান ঢাকা, মিরপুর, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, তেজগাঁও, কাকরাইল, মগবাজার ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলজটের কারণে অসহনীয় যানজট তৈরি হয়।

স্কুলগামী ও অফিসমুখো মানুষকে পড়তে হয় দুর্ভোগে।

স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া হাঁকেন রিক্সা ও অটোরিক্সা চালকরা। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্রী মাহমুদ অভি জানান, বেলা একটায়ও আসাদগেটের আড়ংয়ের সামনে থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের (মিরপুর সড়কে) রাপা প্লাজা পর্যন্ত জলাবদ্ধ ছিল। সেখানে জলজটের কারণে তীব্র যানজট তৈরি হলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। সিএনজিচালিত অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে।

এদিন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের মামুন বিরিয়ানির সামনে থেকে জেলখানার মোড় পর্যন্ত সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। হোসাইনি দালান রোডের জেলখানা মোড় থেকে বকশীবাজার পর্যন্ত সড়ক, আশপাশের জল্লার রাস্তা, বাগিচার গলি, তাঁতখানা লেন, সুকু মিয়ার গলি, নিমতলী, জমিদার গলি, কবিরাজ মসজিদ গলি এবং বকশিবাজার লেনসহ অধিকাংশ অলিগলিই পানিতে তলিয়ে ছিল।