বাংলাদেশে আগামীতে ‘অংশগ্রহণমূলক’ জাতীয় নির্বাচনের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়ে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক বলেছেন, তার দেশ এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে চায়।
Published : 06 Jun 2017, 04:23 PM
মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হাই কমিশনার।
নতুন ইসি দায়িত্ব নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পর রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাতের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ইসিতে আসেন ব্রিটিশ এই কূটনীতিক।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ঘণ্টাব্যাপী সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে সহযোগিতার কথা জানান ব্লেইক।
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত এবং যারা এই লক্ষ্যে কাজ করছে তাদেরকে সমর্থন জানাতে এসেছি। কমিশনের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
সিইসি ও যুক্তরাজ্য হাই কমিশনারের বৈঠকের বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বলেন, “হাই কমিশনার ইনক্লুসিভ, পার্টিসিপেটরি ইলেকশনের কথা বলেছেন। কমিশনের উদ্দেশ্যও একই। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও দেশি-বিদেশি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চাই আমরা।”
সচিব জানান, বৈঠকে সিইসি বলেছেন আগামী নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনে আনা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের যে দূরত্ব রয়েছে সেটি কমে আসবে এবং সবাই নির্বাচনে আসবে।
হাই কমিশনারের সঙ্গে আরও তিন কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ইসি সচিব উপস্থিত থাকলেও চার নির্বাচন কমিশনারের কেউই বৈঠকে ছিলেন না।
এর আগে ৩১ মে সিইসির বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
ওই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ও নির্বাচন কমিশন বড় দলের অংশগ্রহণ ছাড়া ‘বর্জনের নির্বাচন’ আর না করার বিষয়ে একমত পোষণ করে।
বৈঠকের পর বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, এজন্য যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায়। এক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন যেন ‘প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকবে’ প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্ধৃতি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।”
বার্নিকাটের আগে ১৮ মে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা, ১২ মার্চ নরওয়ে ও সুইডেন রাষ্ট্রদূতও সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর সিইসি নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ২৩ মে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট শেষ করতে এ বছরের জুলাই থেকে আগামী বছর ভোটের তফসিলের আগ পর্যন্ত সময়ের করণীয় ঠিক করা হয়েছে এই রোডম্যাপে। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে নির্বাচনের সময় গণনা। এ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপ করে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।