ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিবাদ করার সময় একদল শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা।
Published : 22 May 2017, 04:10 PM
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট চলার সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে এ ঘটনা ঘটে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাসুদ আল মাহ্দীর নেতৃত্বে এই মানববন্ধনে বাম ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
মাসুদ আল মাহ্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বছর বছর অন্যান্য প্রতিনিধিদের নিয়ে সিনেট গঠিত হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থীদের পাঁচ প্রতিনিধিই থাকছে না। শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে সিনেট গঠনের প্রক্রিয়াকে অবৈধ আমরা মনে করি। এই সিনেট নির্বাচন যাতে না হয়, তা বাতিলের দাবিতে জানিয়েছি।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১০৫ সদস্যের সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিধান রয়েছে, যাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) মনোনীত করার কথা। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নেই।
‘শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট নির্বাচন মানি না’, ‘শিক্ষার্থী প্রতিনিধিহীন সিনেট নির্বাচন অবৈধ’, ‘অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে দাও’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষকদের নয়, শিক্ষার্থীদেরও’, ‘উই ডিমান্ড ডাকসু’, ‘নো সিনেট উইদাউট স্টুডেন্ট’ লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
এই ‘নিরব প্রতিবাদে’ শিক্ষক নেতাদের হামলা ও ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ করেন মাসুদ।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ শিক্ষক নেতারা আমাদের ধাক্কাধাক্কি করে সরে যেতে বলেন এবং আমাদের সাথে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয়।
“তারা জামার কলার ধরে, ধাক্কাধাক্কি করে সিনেট ভবন থেকে রেজিস্ট্রার ভবনের গেইট দিয়ে বের করে দেয়।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তারা ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিল। আমরা তাদের বলেছিলাম, তোমরা এখানে থেকে সরে গেইটে দাঁড়াও। কিন্তু তারা শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।”
তখন শিক্ষকরা তাদের ঠেলে সেখান থেকে সরিয়ে সামনের দিকে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ইতিহাস বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, “শিক্ষকদের সিনেট নির্বাচন অবৈধ বলছেন তারা। কী কারণে অবৈধ সেটা তারা বলতে পারে না।
“ডাকসু নির্বাচন সেটা তারা চাইতে পারে। ডাকসু নির্বাচন না হলে সব নির্বাচন অবৈধ, এটা তো হতে পারে না।”