সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
Published : 22 May 2017, 12:22 PM
সোমবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শুরু হওয়া ভোট চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এক হাজার ৫৯০ জন শিক্ষকের ভোটে সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এর বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ৬৯ জন প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল ৩৪ সদস্যের ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল ৩৫ সদস্যের পূর্ণ প্যানেলে অংশ নিচ্ছে এ নির্বাচনে।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে গিয়ে বিভক্তির মুখে পড়ে নীল দল। নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীন গত ১১ মে একটি প্যানেল জমা দেন। তার পরপরই আরেকটি প্যানেল জমা পড়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে।
তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মঙ্গলবার (১৬ মে) মাকসুদ কামালের নেতৃত্বাধীন প্যানেলটি বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচনের কমিশনার কামাল উদ্দীন।
ওই দিনই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নীল দলের শিক্ষকদের এক বৈঠকের পর আহ্বায়ক নাজমা শাহীনের প্যানেলকে সমর্থন জানান মাকসুদরা।
নীল দলের প্রার্থী অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, “নীল দলের শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ। আমি আশাবাদী, শিক্ষকরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করবে।”
মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের প্যানেল একটাই। নীল দলের প্যানেলকে জয়যুক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি; মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করতে হবে।”
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আশা করছি, এবার আমরা ভালো করব।”
বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সাদা দল ৩৫ পদের সবকটিতে প্রার্থী দিলেও নীল দলের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান সরে দাঁড়ানোয় এই প্যানেলে প্রার্থী ৩৪ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি শিক্ষকদের গোলাপি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
প্রার্থী যারা
নীল প্যানেল: নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূইয়া, আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, আবুল মনসুর আহাম্মাদ, আ ক ম জামাল উদ্দীন, ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ, এস এম আব্দুর রহমান, কাজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, তৌহিদা রশীদ, দেলোয়ার হোসাইন, বায়তুল্লাহ কাদেরী, মুবিনা খন্দকার, মো. আফতাব আলী শেখ, মো. আফতাব উদ্দিন, মো. আব্দুল আজিজ, মো. আব্দুস ছামাদ, মো. জিয়াউর রহমান, মো. ফজলুর রহমান, মো. মজিবুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী আক্কাস, শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, সুপ্রিয়া সাহা, সুব্রত কুমার আদিত্য, হাসিবুর রশীদ, সহযোগী অধ্যাপক এস এম রেজাউল করিম, কাজী হানিয়াম মারিয়া, চন্দ্র নাথ পোদ্দার, জান্নাতুল ফেরদৌস, পাপিয়া হক, লাফিফা জামাল, সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান ও সায়মা খানম।
সাদা প্যানেল: সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান, আব্দুস সালাম, এ টি এম জাফরুল আযম, এ এফ এম মোস্তাফিজুর রহমান, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, এ বি এম শহিদুল ইসলাম, এস এম আরিফ মাহমুদ, গোলাম রব্বানী, দিলীপ কুমার বড়ুয়া, নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, মামুন আহমেদ, মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছনী, মোহাম্মদ এমরান কাইয়ুম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, মো. আবদুল করিম, মো. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, মো নুরুল ইসলাম, মো. মাহব্বত আলী, মো. মাহফুজুল হক, মো. মোশারফ হোসাইন ভূঁইয়া, মো. মোর্শেদ হাসান খান, মো. লুৎফর রহমান, মো. শাহ এমরান, মো. হাসানুজ্জামান, মো. হুমায়ুন কবীর, লায়লা নূর ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ দাউদ খাঁন, মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম আকান্দ, মো. ইসরাফিল প্রাং, মো. মহিউদ্দিন ও মো. সিরাজুল ইসলাম।