একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে তিন ধাপে ছয়টি সিটি করপোরেশনে ভোট করার লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 06 May 2017, 09:36 PM
আগামী বছর ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুর সিটিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন।
দলভিত্তিক এই নির্বাচনে এ বছরের শেষ থেকে শুরু মে মাসের মধ্যে ভোটগ্রহণের লক্ষ্য ধরে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে বলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব নির্বাচন শেষ করার লক্ষ্যে যথাসময়ে কাজ শুরু করা হবে।
“রংপুরের নির্বাচনটা আমাদের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতেই করতে হবে। গাজীপুরের ভোটও মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি চার সিটি করপোরেশন একদিনেই করা যেতে পারে আগের মতোই।”
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকারমূলক কাজের চাপ থাকবে; নভেম্বর-ডিসেম্বরে তফসিলের আয়োজন চলবে।
সেক্ষেত্রে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মে সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে ছয় সিটি নির্বাচনের প্রস্তাব থাকছে।ইতোমধ্যে ইসি সচিবালয় নির্বাচনের প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপের’ খসড়া অনুমোদনের জন্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বর রংপুরে, ২০১৩ সালের জুনে একদিনে রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং জুলাইয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট হয়েছে।
সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কার্যকাল দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ছয় মাসের মধ্যে ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এবিষয়ে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রংপুর সিটি ভোটের জন্য আমরা পরিকল্পনা-প্রস্তুতি শুরু করেছি। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট করতে হলে আগাম কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে।”
এ বছরের অক্টোবর থেকে নির্বাচনের সময় শুরু হলেও ডিসেম্বরের শেষভাগকে ভোটের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন তিনি।
এসব সিটিতে আাগের নির্বাচন নির্দলীয় হলেও এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। সর্বশেষ দলীয় প্রতীকে ভোট হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটিতে।