কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর এলাকায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তলিয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Published : 09 Apr 2017, 06:40 PM
ফসলহানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাওর অঞ্চল থেকে উঠে আসা আবদুল হামিদ।
রোববার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেসউইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাওর পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানের উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলের সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ হাওর প্লাবিত হয়ে কৃষকের বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
এতে শুধু নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায়ই কৃষক ২ কোটি ৫ লাখ মন ধান হারিয়েছে বলে বেসরকারি একটি সংগঠনের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওর এলাকার জনগণ একটি মাত্র ফসলের উপর নির্ভর করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ফসল কাটার আগ মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্রতি দিনই হাওড় এলাকার জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।
হাওর এলাকার মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হলেও এবার ক্ষয়ক্ষতি নজিরবিহীন বলছেন কিশোরগঞ্জের সাবেক সং সদ সদস্য আবদুল হামিদ।
হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি ইতোমধ্যে উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সুবিধা দেওয়ার দাবিও তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন।
হাওর পরিস্থিতি নিয়ে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলাপ করেছেন বলে তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়ে হয়েছে।
“রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে হাওর এলাকার জনগণের দুর্দশাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার জনগণের দুর্দশা লাঘবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।”
হাওরে এই দুর্যোগের জন্য বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে গাফিলতিকে দায়ী করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।