গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম দলগুলোর অর্ধদিবস হরতালের সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
Published : 28 Feb 2017, 08:25 AM
এছাড়া সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কর্মীরা সকাল থেকে পল্টন, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ‘গণবিরোধী সিদ্ধান্ত’ বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এই হরতাল শুরুর পর থেকে কোথাও গোলযোগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শাহবাগ মোড় ছাড়া অন্যান্য সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত বৃহস্পতিবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর শুক্রবার সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আলাদাভাবে এই হরতালের ঘোষণা দেয়। তাতে সমর্থন জানায় আরও কয়েকটি দল।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মজুমদারসহ শতাধিক নেতাকর্মী এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে রূপসী বাংলার সামনের রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় হরতালসমর্থকদের একটি দলকে।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক লাকী আক্তার জানান, তাদের এই হরতাল কর্মসূচি বেলা ১২ পর্যন্ত চলবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জনগণের মতামত উপেক্ষা করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের ভুল নীতির কারণে এবং দুর্নীতির বোঝা জনগণের ওপর চাপানোর অংশ হিসেবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।”
শাহবাগ থানার পরিদর্শক পেট্রোল শেখ আবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৬টা থেকে উনারা মিছিল করছেন। তবে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”
পল্টন থানার পরিদর্শক তদন্ত এটিএম শহিদুজ্জামান বলেন, “আমার এদিকে কোনো গোলযোগ হয়নি। হরতালকারীরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছেন। তবে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে না।”
সিপিবি কর্মীদের একটি দল সকালে লালবাগ চৌরাস্তায় জড়ো হয়ে পরে অন্যদিকে চলে যান বলে সেখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় ব্যবহারের গ্যাসের বিল দুই ধাপে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। আর যানবাহনে ব্যবহারের সিএনজির দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ শতাংশের বেশি।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাভুক্ত গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈকত মল্লিক বলেন, “বর্তমান সময়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অযৌক্তিক। এ কারণেই আমরা যুগপৎভাবে হরতাল ঘোষণা করেছি।”
সরকারের বাইরে থাকা বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করেছে। বিএনপি বলেছে, তারা ‘যথাসময়ে’ কর্মসূচি দেবে।