কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলম সবুজকে হত্যার দায়ে দুই জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
Published : 26 Feb 2017, 02:36 PM
রোববার ঢাকার চার নাম্বার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার পাঁচ বছর আগের এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সাত আসামির মধ্যে একজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন তিনি।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. এনাম হোসেন খোকন (৩৮) ও উনা মিয়া ওরফে উনা ডাকাত(৩৬)। আর মো. সাদেকের (৪৩) হয়েছে পাঁচ বছরের জেল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাজিতপুরের সরারচর ইউনিয়ন যুবলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম সবুজ ২০১২ সালের ২১ অগাস্ট নিখোঁজ হন। তিন দিন খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় নুরপুর বিলের পাশে একটি ইটভাটার কাছে সবুজের মানিব্যাগ পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে বিল থেকে তার ১৪ টুকরা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সবুজের ছোট ভাই সমাজ আহমেদ বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় এই মামলা করেন। পরে মামলাটি বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে।
রায়ে বলা হয়, এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে দ্বন্দের জেরে সবুজকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত থাকায় খোকন ও উনা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ঘটনার আলামত ছুরিটি লুকিয়ে রাখার দায়ে সাদেককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়ে।
উনা মিয়া ও সাদেক রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আর এনাম হোসেন খোকন পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, এই তিন আসামি মামলার বিচার শুরুর আগে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে উনা মিয়ার আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মামলার বিচারে আদালত ২৭ জনের সাক্ষ্য শুনলেও তাদের মধ্যে কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন না।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “সমাজে অপরণ, গুম, খুন অহরহ ঘটছে। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ধরনের নৃশংস ভয়ঙ্কর হত্যার অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।”