রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত তাজ মঞ্জিলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা চতুর্থবারের মতো পিছিয়েছে।
Published : 19 Jan 2017, 01:53 PM
মামলাটির তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ধার্য দিন বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১ মার্চ নতুন দিন ঠিক করেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ নিয়ে চারবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হল।
এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, ৩১ অক্টোবর, ৮ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল বলে জানান এসআই আলতাফ।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হলেও এ ঘটনায় জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত বাড়িটি জঙ্গিদের কাছে ভাড়া দেওয়ার তথ্য গোপন ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা আরেকটি মামলায় ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বাড়ির মালিক হাজী মো. আতাহার উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ।
ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মিরপুর মডেল থানাধীন কল্যাণপুর ৫ নম্বর রোড়ের ৫৩ নম্বর জাহাজবাড়িতে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আছে কিনা তল্লাশি করতে যান।
এসময় বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বাড়ির মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীনসহ চারজন পুলিশের কাজে বাধা দেন। পরে জঙ্গি আস্তানা টের পেয়ে সেখানে পরিচালিত অভিযানে সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি মারা যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন আটক হলেও পালিয়ে যায় আরও একজন। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করলেও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য গোপন ও পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে মামলাটি করা হয় ১ অগাস্ট।
মিরপুর মডেল থানার এসআই বজলার রহমানের দায়ের করা তথ্য গোপনের মামলার আসামি জাহাজবাড়ির মালিককে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে শামীম নামের এক আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।